কুবি প্রতিনিধি:
করোনাকালের দীর্ঘ বন্ধের পর অবশেষে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি মিলেছে। এরই মাঝে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভিন্ন ভিন্ন তারিখে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণাও এসেছে। তবে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশের প্রথম ডোজ টিকাই এখনও নিশ্চিত না হওয়ায় দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি খোলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, আমাদের ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীও টিকা দেয়নি। টিকার প্রথম ডোজ নিশ্চিত করে তারপরে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেই পিছিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরুর সময়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠানোতে দেরি করায় টিকা নেয়ায় পিছিয়ে পড়েছেন তারা।
তবে, সম্প্রতি আবারও টিকা রেজিস্ট্রেশন করতে না পারা শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। কতৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার দ্রুতই টিকা পেয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়া সহজ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বুথ স্থাপনের পরিকল্পনাও চলছে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, শুরুতে আমাদের প্রশাসন তালিকা পাঠানোতে দেরি করায় আমাদের এখানে টিকা নেওয়ার হার কম। তবে, এখন আবার নতুন করে তথ্য নিয়েছে। অনেকেই টিকা নিচ্ছে।
টিকা নেয়া ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘আজকে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের সাথে সকল উপাচার্যদের মিটিং আছে, মিটিং করে সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আবার ৭ অক্টোবর আমাদের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা আছে। সেখানে সিদ্ধান্ত আসবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়টি খোলার ব্যাপারে উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে চাই। আজকে রাতে সভা থেকে টিকার ব্যাপারে তথ্য জানতে পারবো। এরপর সামনে ১১ তারিখ সিন্ডিকেট সভা আছে, এর আগে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা আছে সেখানে একটা সিদ্ধান্ত হবে। আমার শিক্ষার্থীদের বলবো, তারা যেন দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে ফেলে। তারা রেজিস্ট্রেশন করে ফেললে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়েই বুথ স্থাপন করে তাদের টিকা দিয়ে ফেলতে পারবো।’
উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরই মাঝে সশরীরে স্নাতকোত্তর ও স্নাতকের চূড়ান্ত বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। অনেক শিক্ষার্থীই হলে থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।