দেশের সব অনুমোদিত ও অননুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সরকার পরিদর্শন শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিজি একথা জানান।
গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে হত্যার অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি বলেন, যে কোনো মৃত্যু দুঃখজনক, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। আমাদের একজন পুলিশ অফিসার এভাবে মারা যাবেন, এটা কারোরই কাম্য নয়। এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত ও অনুতপ্ত।
ডিজি বলেন, মাইন্ড এইড হাসপাতাল নামে যেটা চলছিল সেটার কোনো অনুমোদন ছিল না। মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক চিকিৎসা, দুটো আলাদা জিনিস, আবার অনেক ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত। তারা বলছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে অনুমোদন ছিল, কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অনুমোদন ছিল না। কিন্তু মানসিক চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এজন্য এটা বন্ধ করে দিয়েছি।
অননুমোদিত হাসপাতালগুলোর বিষয়ে কী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবগুলো পরিদর্শন করতে আমরা একটা জরুরি মিটিং করেছি। আমরা একটা কমিটি করেছি। প্রত্যেক এলাকার সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। তাদের সঙ্গে প্রশাসনও থাকছে। কারণ, আমরা একা এটা করতে পারব না, এটার সঙ্গে প্রশাসন লাগবে, পুলিশের সাহায্য লাগবে এবং আইন প্রয়োগকারী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতা লাগবে। তাদের নিয়ে আমরা এটা করতে পারব। আশা করছি, এ মাসের মধ্যে পরিদর্শন শুরু করতে পারব।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, লাইসেন্সের বাইরে অনেক হাসপাতাল রয়েছে, এগুলোর হিসাব পেতে গত সোমবার জরুরি মিটিং করে প্রত্যেক বিভাগীয় পরিচালককে তিন কর্মদিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের এলাকার মোট লাইসেন্স এবং আন-লাইসেন্সের লিস্ট আমাদের দেবেন।
সারা দেশে লাইসেন্সসহ মোট ৬ হাজার ৬৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে জানিয়ে ডিজি বলেন, এর মধ্যে হাসপাতাল ২ হাজার ১৩০টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৩ হাজার ৮৫৬টি ও ব্লাড ব্যাংক রয়েছে ৮১টি।