এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চট্রগ্রামের হাটহাজারী থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদীয়মান ইসলামী বক্তা মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান কাশেমীর সন্ধান মিলেনি ১৪ দিনেও। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিখোঁজের পরিবার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর কান্দাপাড়া গ্রামের আবদুল ওয়াহাবের পুত্র মিজানুর রহমান ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে মুফতী এবং হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে মোফাচ্ছের কোর্স সম্পন্ন করেন।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজের ভাই এস. এস.এম সায়েম জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর নিজ কর্মস্থল হাটহাজারির চারিয়া কালা বাদশা জামে মসজিদ থেকে চট্রগ্রাম হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন মিজানুর রহমান। পথিমধ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পথরোধ করে বিভিন্নভাবে প্রশ্ন করতে থাকেন। বিষয়টি টেলিফোনে তার বন্ধু শওকতকে জানানোর পর শওকত বিষয়টি মিজানের স্ত্রীকে অবহিত করেন। তৎক্ষণাত মোবাইলে যোগযোগ করতে চাইলেও মিজানের ফোনটি বন্ধ পায়। এব্যাপারে মিজানের আরেক বন্ধু নাছির উদ্দিন পরদিন হাটহাজারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। থানা পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে সিলেটের জকিগঞ্জের রতনগঞ্জ বাজার এলাকায় মিজানের অবস্থান পান। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ সম্ভাব্য কয়েকটি স্পটে তল্লাশী করেও মিজানের সন্ধান পায়নি। এরপর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অপহৃতের মোবাইল দিয়ে ফোন করে পরিবারের কাছে চার লাখ টাকা দাবী করেন। বিষয়টি র্যাব-১৪ কে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে নিখোঁজ ছেলেকে ফেরত পেতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বৃদ্ধ পিতা আবদুল ওয়াহাব। শেষ বিদায়কালে ছেলেকে পাশে পাবার আকাঙ্খা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এ বয়সে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, আমি চাই মৃত্যুর পর আমার নিখোঁজ সন্তান আমার দাফন কাফনে উপস্থিত থাকবে। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমানের বৃদ্ধ পিতা আবদুল ওয়াহাব, শ্বশুর এরশাদুল হক, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস, মুফতী এনামুল হাসান, রফিকুল ইসলাম রতন এবং নিখোঁজ মাওলানা মিজানুর রহমান কাশেমীর স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।