কচুরিপানায় মিলল নিখোঁজ যুবকের লাশ : থানায় হত্যা মামলা

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রতিবেশীর ডাকেই বাড়ির বাইরে যান জাহাঙ্গীর। সমগ্র রাত পেরিয়ে এমনকি দুই দিনেও বাড়ি না ফেরায় স্ত্রী থানায় দায়ের করেন জিডি। শেষতক নিখোঁজের চার দিন পর মিললো তার লাশ! ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানা পুলিশ বানের পানিতে ভাসমান কচুরিপানার মধ্য থেকে লাশ উদ্ধার করে পাঠায় মর্গে। নিহতের স্ত্রী দায়ের করেছেন হত্যা মামলা।

বুধবার (২৯ জুলাই) বিকেলে কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের পাশে পানিতে ভাসমান কচুরিপানার মধ্য থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জাহাঙ্গীর মিয়া (৪০) কসবা পৌর এলাকার আকবপুর গ্রামের সোনা মিয়ার পুত্র। একই গ্রামের প্রতিপক্ষীয়দের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী রেজিয়া বেগম।

নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই রোববার রাত আটটার দিকে প্রতিবেশী ইসমাইল নামীয় এক ব্যক্তি জাহাঙ্গীরকে ডেকে নেয়। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। নিখোঁজ জাহাঙ্গীরকে কোথাও হদিস না পেয়ে ২৮ জুলাই মঙ্গলবার তার স্ত্রী কসবা থানায় একটি সাধারন ডায়রি (জিডি) করেন। পরদিন বুধবার উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া-অনন্তপুর সড়ক থেকে কয়েকশ গজ দুরে বন্যার পানিতে ভাসমান কচুরিপানা মধ্যে একটি লাশ ভেসে ওঠার খবর পায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। ঘটনাস্থল গিয়ে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রেজিয়া বেগম ও বড় ভাই মোসলেম মিয়াসহ পরিবারের অন্য লোকজন লাশটি জাহাঙ্গীরের বলে সনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের স্ত্রী রেজিয়া বেগম ও বড় ভাই মোসলেম মিয়া জানান, তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল রাতের বেলায় জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাবার পর থেকেই নিখোঁজ হয়। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। একই গ্রামের মজিদ, করিম, সাত্তার গংদের সাথে তাদের পরিবারের বিরোধ রয়েছে। এর জেরেই জাহাঙ্গীরকে খুন করে লাশ গুমের উদ্দেশ্য পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। তারা তদন্তপূর্বক নৃশংস এই খুনের দ্রুত বিচার দাবী করেছেন। অপরদিকে ইসামইলের স্ত্রী অরুনা জানান,তার স্বামী একজন রাজমিস্ত্রী। এ ঘটনার সাথে তার স্বামী জড়িত নয়।

কসবা থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘লাশটিতে পচন ধরে যাওয়ায় সুরতহালে কিছুই বুঝা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Post Under