চাঁদপুরে মাছের আড়ালে মাদক বিক্রি, আটক ৩
মাছ পরিবহনের পিকআপ ভ্যানে বিক্রি করে ইয়াবা। করোনাকালে থেমে নেই তাদের রমরমা মাদকের ব্যবসা। চট্টগ্রাম থেকে মাদক এনে চাঁদপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায় চালান করে সংঘবদ্ধ মাদককারবারীরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমনি একটি চক্রের সন্ধান পেয়ে হাতেনাতে ৩ হাজার ২০০ পিচ ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে নগদ ৫ হাজার ৪শ’ টাকাসহ ৩টি মোবাইল।
গত বুধবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে চাঁদপুর শহরের যমুনা রোড এলাকা থেকে নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাহার মিয়ার নেতৃত্বে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন : চাঁদপুর শহরের উত্তর শ্রীরামদী মাদ্রাসা রোডের ইউসুফ সর্দারের ছেলে মাসুদ সর্দার (৪৫), বড়স্টেশন যমুনা রোডের মৃত নূর মোহাম্মদ খানের ছেলে হানিফ খান (৪০) ও বড়স্টেশন পাইলট হাউজ সংলগ্ন মৃত আয়াত আলীর ছেলে হিযবুল্লাহ মাতাব্বর (৩০)। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তাদের সঙ্গে থাকা আরো দুই মাদককারবারী। এর মধ্যে রয়েছে বড়স্টেশন যমুনা রোডের হানিফ খানের ছেলে ইরফান খান (১৯) ও মামুন নামে আরেকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদককারবারী ইরফান খান চট্টগ্রাম থেকে মাছ পরিবহন করে চাঁদপুরে আনা-নেয়া করে। এরই মধ্যে সে জড়িয়ে পড়ে মাদক ব্যবসায়। মাছের আড়ালে দীর্ঘদিন ইয়াবা পাচার করছে সে।
নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাহার মিয়া জানান, সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে যমুনা রোডে অভিযান করা হয়। এ সময় পিকআপ ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ন-১৫-৯০৭৯) গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে চালকের আসনের নিচ থেকে ইয়াবার ২শ’ পিচের ১৬টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। যার পরিমাণ হচ্ছে ৩২০০ পিচ। আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ সময় আটক ৩ জনের কাছ থেকে পিকআপ ভ্যান, ৩টি মোবাইল সেট ও নগদ ৫ হাজার ৪শ’ টাকা জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, আটকদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে। তাদের সাথে থাকা পালিয়ে যাওয়া দুজনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।