এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লার জনপ্রিয় শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাক্তার জহিরুল হক হত্যার বিচার চেয়ে এবং হত্যার মাস্টার মাইন্ডকে গ্রেফতার করে ন্যায় বিচার সুনিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন কুমিল্লার চিকিৎসকেরা।
২৫ অক্টোবর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা জেরারেল হসপিটাল, কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ জেলা জুরে বিভিন্ন হাসপাতালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কুমিল্লা জেলা শাখা, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেডিয়্যাট্রিক এসোসিয়েশন কুমিল্লা শাখা, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রেকটিশনার এসোসিয়েশন কুমিল্লা শাখা সহ চিকিৎসকদের অন্যান্য সংগঠনগুলো মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়ে, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল হকের হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের দ্রত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. আজিজুল হক, জেলা বিএমএ এর সভাপতি ডা. আবদুল বাকী আনিছ, সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসীম, স্বাচিপ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোর্শেদুল আলম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রেকটিশনার এসোসিয়েশন কুমিল্লা শাখার সভাপতি ডা. একেএম আবদুস সেলিম, অধ্যাপক আবদুল হক, ডা. চিস্ময় কুমারসাহা, সরতাজ বেগম প্রমুখ।
জেনারেল হাসপাতালে সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তারের নেতৃত্বে চিকিৎসকেরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে হত্যার মূল নায়ক গোল্ড সিলভারের ফারুক, হত্যাকারী পাপ্পু, তাঁর স্ত্রী সন্তান সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ণিশ্চিতের আহবান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, কুমিল্লায় রেসকোর্স এলাকার শাপলা টাওয়ারের নিজ বাসা ও চেম্বারে জেলার জনপ্রিয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল হক ও তার স্ত্রী ফারহানা আফরিন হিমিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরতর আহত হন ডক্তার জহিরুল হক। রাখা হয় কুমিল্লা মেডিকেলের আইসিইউতে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের কারনে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল হক সোমবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেন। তার স্ত্রী চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাসায় আছেন। এ ঘটনায় চিকিৎসকের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যাকারী পাপ্পু, তার স্ত্রী, দুই ছেলে এবং ডেভেলপার ফারুক আহেম্মেদের নামে মামলা দায়ের করেন।