প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহস্রাধিক পরিবার

 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তাদের ছিলোনা ভূমি,এমনকি মাথা গোঁজার ঠাই একটা বসতঘরও। অন্যের বাড়িতে আশ্রিত হয়ে, সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা সংলগ্ন স্থান-ফুটপাতে ভাসমান অবস্থায় করতো ওরা দিনযাপন। এমনি ভূমিহীন-গৃহহীন সহস্রাধিক মানুষ কিংবা পরিবার তাদের স্বপ্নের ঠিকানা,বসতঘর এমনকি ভিটেবাড়ি পেয়ে পরম খুশি-আবেগে উদ্বেলিত। ওদের এখন অন্তত মাথা গোঁজার ঠাই হয়েছে, অন্যের তাড়া খেয়ে এখানে ওখানে দৌড়াতে হবেনা। উপকারভোগী এসব মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জ্ঞাপন করেছেন অনি:শেষ কৃতজ্ঞতা। সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার এক হাজার ৯১টি পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদত্ত ঘর।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সারা দেশের অপরাপর জেলাগুলোর ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয়টি উপজেলার ভূমিহীন-গৃহহীন এক হাজার ৯১টি পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এসব ঘর। এ উপলক্ষে জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই আয়োজন করা হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। তবে জেলার মূল অনুষ্ঠানটি হয় আখাউড়ায়।

প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘর উদ্বোধন উপলক্ষে জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ.বি.এম. আজাদ। এসময় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউেনও) মো. নূর এ আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুইয়া, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমূখ।বর্ণাঢ্যময় এই অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, বীরমুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে উপকারভোগীদের মাঝে তাদের ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে ঘর উদ্বোধন এবং হস্তান্তর উপলক্ষে অনুরূপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, দুই শতক ভূমির আধাপকা এসব ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পাইলট প্রকল্প হিসেবে পরিগণিত আখাউড়া উপজেলার নারায়ণপুর মৌজাস্থিত আশ্রযণ প্রকল্পটিতে সুবিধাভোগী পরিবারগুলো শিশুদের খেলার মাঠ, মসজিদ, পর্যাপ্ত রাস্তারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান নিশ্চিত করেন। জেলার অন্যান্য উপজেলার প্রকল্পগুলোতেও উপকারভোগীর সংখ্যানুপাতে এসব সুবিধাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

Post Under