দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও পত্রিকাটির প্রধান প্রতিবেদক আরিফ আজমের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা ১০ কোটি টাকার মানহানী মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ারুল করিম ফারুক। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাকে “ডামি প্রার্থী” লেখা হলে সংক্ষুদ্ধ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন আনোয়ারুল করিম ফারুক। পরে বিচারক বাদির বক্তব্য শুনে তার আবেদন মঞ্জুর করেন।
আনোয়ারুল করিম ফারুক জানান, “একটা সংবাদকে কেন্দ্র করে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। এনিয়ে দৈনিক ফেনীর সময় এর বিরুদ্ধে মামলা হয়। শনিবার জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি ও ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী মধ্যস্থতায় সাংবাদিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করেছেন। যার জন্য মামলা সহ সবধরনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছি।”
জেলা আওয়ামীলীগের আইন সম্পাদক এম. শাহজাহান সাজু জানান, “আনোয়ারুল করিম ফারুক সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রতীকে তিনি নির্বাচন করবেন। মামলা দায়েরের পর সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর মধ্যস্থতায় সৃষ্ট ভুলবোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। এমপি-মেয়রের অনুরোধে বাদীপক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আদালত দরখাস্ত ও বাদিও বক্তব্য গ্রহণ করে আবেদন মঞ্জুর করেছেন। ইতিমধ্যে সেটি প্রত্যাহার হয়েছে।”
এর আগে শনিবার দুপুরে ফেনী পৌরসভায় সাংবাদিকদের সাথে বৈঠকে বসেন নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি। এসময় পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মিলন সঙ্গে ছিলেন। বৈঠকে দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও এডভোকেট আনোয়ারুল করিম ফারুক ছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত; দৈনিক ফেনীর সময় এ গত বুধবার “ফেনী-২ এ প্রার্থীতা ফিরে পেল আ’লীগের ডামি প্রার্থী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে আনোয়ারুল করিম ফারুক বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও প্রধান প্রতিবেদক আরিফ আজমের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে সাংবাদিক সহ সচেতন মহলে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠে।