বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে তার আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল-শিক্ষামন্ত্রী
শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহিদদের স্মরনে শোকসভা
শরীফুল ইসলাম।।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে শুধু ক্ষমতার পালাবদলের জন্য হত্যা করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে তার আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। যেই কারনে জাতির পিতাকে হত্যার কিছুদিন পর জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। যাতে করে স্বাধীনতার স্ব- পক্ষের শক্তি আর কোন দিন ক্ষমতায় আসতে না পারে। যারফলে জাতির পিতাকে হত্যার পর আমরা দীর্ঘ দিন অন্ধকারে ছিলাম।
তিনি বুধবার চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে পৌর ছাত্রলীগের আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহিদদের স্মরনে শোকসভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনি বলেন,জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে,বঙ্গবন্ধুর হত্যা কারীদের বিচারের পত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, আওয়ামীলীগের লক্ষ্য লক্ষ্য নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি সেই সময়ে প্রায় প্রতিরাতে এদেশে কারফিউ ছিলো। তারা আবার এদেশে গনতন্ত্রের কথা বলে।তাহলে সে সময় এদেশে কোন গনতন্ত্র ছিলো।
তিনি আরো বলেন , বহুকষ্টের বিনিময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসে এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।কাজেই আমাদের এই উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে হবে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এসময় তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, তোমারা এমন কিছু করবে না যাতে দলের বদনাম হয়,আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রীর বদনাম হয়। মনেরাখবা ছাত্রলীগের ইতিহাস মানে বাংলাদেশের ইতিহাস। এবং এই সংগঠন জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। কাজেই আমার অনুরোধ থাকতে তোমারা নিজেদেরকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলবা।
চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ সোহেল রানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান।
এ সময় প্রধান বক্তার হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: জহির উদ্দিন মিজি বলেন, এই মাস আমাদের শোকের মাস। কারন এই মাসেই আমরা আমাদের জাতির পিতাকে স্ব- পরিবারে হারিয়েছি। আবার এই মাসেই আমাদের প্রান প্রিয়নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে।আমরা ছাত্রলীগ সর্বদাই দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠে ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আপনারা দেখেছেন ছাত্রলীগ এই করোনা কালে কিভাবে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলো।
চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম রবিন পাটওয়ারীর পরিচালনায় বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূইয়া, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগ মনোনীত চাঁদপুর পৌর সভার মেয়র প্রার্থী অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোঁফ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, মোহাম্মদ আলী মাঝি, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মালেক শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিন বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোহাম্মদ মোতালেব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাড. হেলাল হোসাইন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আকতার হোসেন পাটওয়ারী, সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অ্যাড. হুমায়ন কবির সুমন, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন বাবু পাটওয়ারী, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেল আখন্দ, আনোয়ার হাওলাদার, জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. বদরুল আলম, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছোলাইমান হোসেন রাজু প্রমূখ।
আলোচনার পূর্বে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহিদদের স্মরনে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।