এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা এলাকা থেকে চোরাইকৃত দুটি গরু আশুগঞ্জ থেকে উদ্ধারসহ গরুচোর চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব সদস্যরা। সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সহকারি পরিচালক এই তথ্য জানান।
এর আগে সোমবার সকালে আটককৃতরা হলেন
একই উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার পুুুুত্র মো. নোয়াব মিয়া (৬২), আবদু মিয়ার পুত্র ইকবাল হোসেন (৪৪), মৃত নরুল ইসলামের পুত্র মো. মানসুর আলম (৩০)। এসময় তাদের জিম্মা থেকে দুইটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুনঃ
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সহকারি পরিচালক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, গত ৯ অক্টোবর রাতে জেলার নবীনগর উপজেলার মনিপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে দুটি গরু চুরি হয়। সে বিষয়টি আমাদের অবহিতের পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চুরি হওয়া গরুসহ তিনজনকে আটক করি। আটককৃত নোয়াব মিয়া, ইকবাল, মানসুর এবং চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যের যোগসাজসে চোরাই গরুগুলি নোয়াব মিয়ার বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নোয়াব মিয়া একজন মুরগী ব্যবসায়ী এবং গরুর দালাল, গরু কেনা বেচা করে । এই চক্রের সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে এনে নোয়াব মিয়ার বাড়িতে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে জবাই করে ইকবাল মিয়ার গোস্তের দোকান এবং বিভিন্ন হোটেল-রেষ্টুরেন্টে বিক্রয় করে। আটককৃত অটোরিকশাচালক মানসুর আলম চুরি করা গরুর জবাইকৃত মাংস বিভিন্ন হোটেল রেষ্টুরেন্টে বহন করে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন সময় তার অটোরিকশা করে চুরি করতে বিভিন্ন এলাকায় যায়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।