এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রহস্যজনক মৃত্যু ঘটলো খামার শ্রমিক শাহ আলমের (৪০)। মহাসড়কের পাশে মিললো লাশ। একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে পথদুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস নাকি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুই হয়েছে এই নিয়ে চাউর হচ্ছে নানান কথা।
রোববার (৫ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর এলাকাস্থ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশ থেকে তার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত শাহ আলম জেলা শহরের উত্তর পৈরতলা মহল্লার মৃত আসগর আলীর পুত্র। সে সুলতানপুর এলাকায় একটি মুরগির খামারের শ্রমিক ছিলো।
স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পঞ্চবটি এলাকায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে অবহিত করে। সড়ক দুর্ঘটনাজনিত ঘটনার আশঙ্কায় পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এদিকে খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা এটি শাহ আলমের লাশ বলে শনাক্ত করেন। পরে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক ময়না তদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয় জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে। নিহত শাহ আলমের স্ত্রী অভিযোগ করে জানান, ‘আমার স্বামী সদর উপজেলার পঞ্চবটি এলাকার একটি মুরগির খামারে চাকরি করতেন। কয়েক মাস ধরে তার বেতন-ভাতা বন্ধ। এই নিয়ে মালিকের সাথে ঝামেলা চলছিলো। বেতন-ভাতা চাওয়ায় শাহ আলমকে নির্যাতনও করা হয়েছে। আমার স্বামীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।’
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) কে. এম. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘মরদেহটি মহাসড়ক থেকে উদ্ধার করা হলেও এটি সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের পর রিপোর্ট হাতে আসার পর এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’