সুশান্তর বান্ধবীকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
ডেস্ক রিপোর্ট ● এ বছরের শেষের দিকেই নাকি বিয়ে করার কথা ছিল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের। সেই জন্য নাকি শুরু হয়েছিল ঘর খোঁ’জাও, সুশান্তের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই।
সুশান্তের তুতো ভাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেই মতো বাড়িতে নাকি চলছিল প্রস্তুতিও। সব ঠিক থাকলে সামনের অক্টোবরেই নাকি বিবাহব’ন্ধনে আ’বদ্ধ হতেন অভিনেতা।
পাত্রী? সুশান্তের ভাই তা নিয়ে মু’খে কুলুপ আ’টলেও মুম্বইয়ের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি পাত্রী বাঙালি মেয়ে রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তের জী’বনে শে’ষ ভালবাসা হয়ে এসেছিলেন যিনি।
শোনা যাচ্ছে, এক প্রপার্টি ডিলারের কাছে নাকি একসঙ্গে থাকার জায়গাও খুঁ’জছিলেন তাঁরা। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, বান্দ্রায় থাকার জন্য রিয়া নাকি তাঁকে একটি ফ্ল্যাট দেখে দিতে বলেছিলেন। বলেছিলেন, সুশান্ত এবং তিনি থাকবেন। এও জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই বিয়ে করবেন তাঁরা।
যদিও রিয়া এ নিয়ে মুখ খোলেননি। শোনা যাচ্ছে, সুশান্তের মৃ’ত্যুর বেশ কিছু দিন আগে থেকেই তাঁদের স’ম্পর্কে নাকি ভা’ঙন ধ’রতে শুরু করেছিল। চিত্রনাট্যকার সুহৃতা সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, নিজের আশপাশে ছায়ামূ’র্তি দেখা, খু’ন হয়ে যাওয়ার ভ’য় ক্র’মশ ছেয়ে ফেলছিল সুশান্তকে।
সুশান্তের এই ভ’য়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরেই নাকি আলাদা হয়ে যান রিয়া। রিয়ার ‘মেন্টর’ মহেশ ভট্ট নাকি এমনটাই উ’পদেশ দিয়েছিলেন তাঁকে। বলেছিলেন সুশান্তের সঙ্গে থাকলে রিয়াও অ’বসাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। যদিও মৃ’ত্যুর আগের রাতে রিয়াকেই ফোন করেছিলেন সুশান্ত। সে ফোন তোলেননি রিয়া।
এদিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে প্রায় সাত ঘন্টা টানা জি’জ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বাই পু’লিশ। সংবাদ সং’স্থা পিটিআই জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ এ অভিনেত্রীকে বান্দ্রা থা’নায় ডেকে পাঠানো হয়।
সাদা পোশাক, অ’বিন্যস্ত চুল, মুখে মাস্ক পরে রিয়া সেখানে পৌঁছান। অন্যদিকে একই দিন অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু পরিচালক মুকেশ ছাবড়াকে থা’নায় ডেকে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়। জি’জ্ঞাসাবাদে অনেক চা’ঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
পু’লিশকে মুকেশ জানান, প্রথম থেকেই সুশান্ত অন্তর্মুখী স্বভাবের ছিলেন। যদিও প্রযোজনা সংস্থাগুলোর সঙ্গে কোনো ঝা’মেলা চলছিল কি-না সে ব্যাপারে মুকেশকে সুশান্ত কিছু জানাননি বলেই দা’বি করেছেন পরিচালক।
এ দিকে অভিনেতার মৃ’ত্যুর দিনই পু’লিশ জানিয়েছিল, সুশান্ত ঘনিষ্ঠ প্রত্যেককেই থা’নায় ডেকে আ’লাদাভাবে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেই মতোই মঙ্গলবার প্রথমে সুশান্তের বাবা এবং পরে দুই বোনকে থা’নায় ডাকা হয়।
সুশান্তর বাবা কেকে সিং জানান, “ছেলেকে অনেক সময়েই মনম’রা, বি’ষণ্ণ দেখতাম। ডিপ্রেশনে ভু’গত, জানতামই না!” রিয়া ও পরিবারের পাশাপাশি মুম্বাই পু’লিশ লাগাতার জি’জ্ঞাসাবাদ করে সুশান্তের আরেক কাছের বন্ধু ‘প’বিত্র রিশতা’ খ্যাত মহেশ শেটিকে।
তার থেকেই প্রথম সবাই জানতে পারে, অ’বসাদে ভু’গছিলেন অভিনেতা। নিয়মিত ওষুধ নিতে হতো। শেষের কিছুদিন সেই ওষুধও ব’ন্ধ করে দেন তিনি। একপ্রস্থ জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সুশান্তের ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও।
অভিনেতার আর্থিক অবস্থা, কাজকর্ম, বলিউডে নায়কের অবস্থান সম্বন্ধে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাকে। গত ১৪ জুন, সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘুম থেকে উঠেছিলেন সুশান্ত। এর পর সাড়ে নয়টা নাগাদ জুস খেয়ে ঘরের দরজা ব’ন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি।
এর পর কয়েক দফা বারবার দরজায় কড়া নাড়া সত্ত্বেও সাড়া পাওয়া যায়নি তার। দুপুরের দিকে তালার ভা’ঙার মিস্ত্রী ডেকে খোলা হয় সুশান্তের ঘরের দরজা। দরজার ওপারে তখন সিলিং থেকে ঝু’লছে তার দে’হ!