শরীফুল ইসলাম:
ভূমিদস্যুদের মামলা হামলা থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে হয়রানির কথা তুলে ধরেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে অ্যাড. হুমায়ুন চৌধুরী দাবি করেন, চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার গন্ধব্যপুর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামে ৩২ শতাংশ জমি খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে তারা বসবাস করে আসছেন। কিন্তুু প্রতিবেশী একদল ভূমিদস্যুু তাদেরকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করছেন। এই পর্যন্ত স্থানীয় আদালত ও থানায় ১৬টি মামলা দিয়েছে ভূমিদস্যুরা। অধিকাংশ মামলার রায় অ্যাড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীর পক্ষে আসলেও তিনি ভূমিদস্যুদের হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
তিনি দাবি করেন বসতবাড়ি সংস্কার করতে গেলে গত ১২ সেপ্টেম্বর-২০২০ ভূমিদস্যুরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তার বৃদ্ধ বাবা হাজী মোহাম্মদ আক্কাস আলী চৌধুরী গুরুতর জখম হন। হামলাকারী ভূমিদস্যু মোঃ আবুল খায়ের, মোঃ রিপন, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মানিক মিয়া ও দেলোয়ারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে হাজিগঞ্জ থানায় প্রতিকার চেয়ে কোনো সহযোগিতা পায়নি। পরে আদালতের শরণাপন্ন হলে তা আমলে নিয়ে হাজিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
অ্যাড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন রনি প্রায় সময়ই জনৈক এসপি ‘বশির’ স্যারের তদবির আছে এ ধরনের কথা বলে তাদেরকে হয়রানি করে আসছেন। ১৪সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে একদল পুলিশ পাঠিয়ে তাদের বসতঘর তছনছ করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত হুমায়ুন কবির চৌধুরী তার বৈধভাবে খরিদকৃত জমিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম আহসান উল্লাহর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, শহীদ পাটওয়ারী, বিএম হান্নান, শরীফ চৌধুরী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সোহেল রুশদী, মির্জা জাকির, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাদাত হোসেন শান্তসহ
সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিবৃন্দ।