মোঃ আব্দুল হান্নান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কন ইউনিয়নের ব্রহ্মণশাসন মধ্যপাড়া সুন্নি জামে মসজিদের ইমাম শিব্বির আহাম্মদের বিরুদ্ধে নতুন মসজিদ নির্মানের অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়ম,দুর্নীতি ও শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির বিষয়ে এক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়া এ লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই ইমামের নাম মাওলানা শিব্বির আহাম্মেদ।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে ব্রাক্ষনশাসন মধ্যপাড়া সুন্নি জামে মনজিদ নামে একখানা নতুন মসজিদের কাজ শুরু হয়। মসজিদ নির্মানের জন্য এ পর্যন্ত কুয়েত থেকে ২৭ লক্ষ ও এলাকার জনগণ থেকে ১০ লক্ষ মোট ৩৭ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে মাওলানা শিব্বির আহমেদ উক্ত মসজিদের ইমাম নিযুক্ত হয়ে মসজিদ পরিচালনার কোনরুপ কমিটি না করে নিজে নিজেই মসজিদ নির্মান কাজের তদারকি করে যাচ্ছে।প্রায় ৮ বছর যাবৎ মাওলানা শিব্বির আহমেদ একা একা মসজিদ নির্মানের কাজ করে গেলেও মসজিদের কোন মুসল্লি সহ কাউকে কোন হিসাব দিচ্ছেনা।মাওলানা শিব্বির আহমেদ মৌখিক ভাবে ১৭ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে বললেও ২০ লক্ষ টাকার কোন হিসাব দিতে পারছে না।
অভিযোগকারী সহ স্থানীয় মুসল্লিরা জানান,ইমাম মাওলানা শিব্বির আহমেদকে মসজিদের নামে হিসাব খোলার কথা বললে তিনি তা না করে তার ব্যাক্তিগত একাউন্টে মসজিদের অনুদানের টাকা লেনদেন করে আসছে। মসজিদের মুসল্লিদের দ্বারা কোন কমিটি না করে পূর্বের মসজিদ থেকে চুরি করে আনা রেজুলেশন খাতা দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ৩০/৩৫ জন মুসল্লি সেই ইমামের পেছনে নামাজ পড়বে না বলে মসজিদ থেকে চলে গেছে। অভিযোগকারী বাবুল মিয়া জানায়, তিনি নিজে মসজিদের জন্য অনুধান হিসেবে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিলেও শিব্বির মাত্র ৩৫ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন। বর্তমানে ইমাম শিব্বির আহাম্মেদ মুসল্লিদের কাউকে কিছু নজ বলে মসজিদের মটর থেকে তার নিজ বাসায় নিয়ে পানিও ব্যবহার করছে।
অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন এলাকায় গিয়ে শিব্বির আহাম্মেদকে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে মাওলানা শিব্বির আহাম্মেদের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন। তিনি বলেন মসজিদের সাথে বাবুল ভাইয়ের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি প্রায় ১ বছর যাবৎ মসজিদে আসেননি। আমাদের নতুন কমিটি আছে রেজুলেশন ও আছে বলে দাবী করেন তিনি। মাওলান শিব্বির আহাম্মেদ আরো বলেন এ বিষয়ে তারা থানায়ও অভিযোগ করেছে। থানার এস আই মোঃ আরুফুর রহমান সরকারের সাথেও কথা হয়েছে।
এস আই মোঃ আরিফুর রহমান সরকারের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগের ভিত্তিতে গিয়ে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে মাওলানা শিব্বির আহাম্মেদ ও বাবুল মিয়ার সাথে কথা বলেছি।