এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
অবশেষে ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হওয়ায় মুচলেকায় ছাড়া পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার তিন ঠিকাদার। সওজ বিভাগের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ করার দায়ে আটককৃত ঠিকাদার আবু নাহিদ সোহাগ,শানু খলিফা এবং হাসান খলিফা ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবার শর্তেই ছাড়া পান।
জানা যায়, জেলার আখাউড়া উপজেলা এলাকার তিতাস নদী থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয় বালু। উত্তোলনকৃত এসব বালু অবৈধভাবে রাখা হয় জেলার আখাউড়ার তিতাস রেল ব্রীজের পূর্ব পাশে ঢাকা-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়ক ও রেল সড়কের মাঝখানে রেলওয়ের জায়গায়। এরই মাঝে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে দুই সড়কের মাঝখানে বিশাল স্তুপাকারে রাখা বালুর পাশে পানি জমে যায়। জমে যাওয়া বৃষ্টির পানি ও বালুর চাপে রোববার বিকেলে আখাউড়ার ঢাকা-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের এক পাশ তিতাস নদীতে ধসে পড়ে। এতে প্রায় ৫০ মিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে সড়কটি। ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয় জেলা সদর থেকে আখাউড়ায় যাতায়াতকারী সকল যানবাহন ও ঢাকা-আগরতলা রুটে চলাচলকারী যানবাহনকে।এদিকে ঘটনাটির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তদন্ত শেষে ঘটনার জন্য তিন ঠিকাদারকে দায়ী করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার আখাউড়া থানা পুলিশ ওই তিন ঠিকাদারকে আটক করেন।আটককৃত ঠিকাদারারা হচ্ছে আবু নাহিদ সোহাগ, শানু খলিফা ও হাসান খলিফা। পরে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ক্ষতিপূরণ দেবার শর্তে মুচলেকায় ছাড়া পেলেন ওই তিন ঠিকাদার।
আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘সরকারি সম্পদ রক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের বাবদ ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া সাপেক্ষে তাদের মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়।’
উল্লেখ্য, সড়কটি দিয়ে বর্তমানে যান চলাচল চালু রয়েছে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মেরামত কাজ শেষ হবে বলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।