আজিজুর রহমান চৌধুরীঃ
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত সুমনকে দাহ করতে দেয়নি গ্রামবাসী। ঘটনাটি উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের। বিবরণে জানা যায় দুপুরআড়াইটায় ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন করোনা উপসর্গ নিয়ে (৩৬) মারা যান। রাত্র ১ ঘটিকায় ঢাকাথেকে মৃত সুমনকে ফান্দাউক শ্মশানঘাটে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেখানে কাউকেই পাওয়া যায়নি। আত্মীয়–স্বজন, বন্ধু–বান্ধবকেউই এগিয়ে আসেনি। সুমন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পল্লী চিকিৎসক হিসেবে এলাকাবাসীকে সেবা দিয়ে গেছেন। মৃত্যুর পর কেউই তাকেএকনজর দেখতে আসেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শতভাগ স্যানিটাইজ করে প্লাস্টিকে মোড়ানো ছিলো তার মৃতদেহ। কিন্তুআত্মীয়–স্বজন কেউই তার ফোন ধরেনি এমনকি ঘরের দরজাও খুলেনি। অবশেষে কিংকর্তব্যবিমূঢ় সুমনের ভাগ্নে সজীব আচার্যভোররাত্রে তাকে নিয়ে সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ির আঙিনায় শ্মশানে যায়। কিন্তু সেখানেও বাধা, অবশেষে পৌর কর্তৃপক্ষের সেবাসংঘের সহায়তায় তার মৃতদেহ দাহ করা হয়।