কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটকে রেখে হেনস্থা করে সাজানো মামলা দেওয়ার প্রতিবাদ ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে আজ বুধবার বেলায় ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা প্রেসক্লাব এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছেন। মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, আইনজীবি, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রথম আলো কসবা বন্ধুসভাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
কসবা স্বাধীনতা চত্ত¡রে বেলা ১১টায় এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক চলে এ মানববন্ধন। কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সপ্রীম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবি ডক্টর মো. ইদ্রিছ ভূইয়া, কসবা টি.আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ, কসবা স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা এম.এইচ শাহআলম, কসবা প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, কসবা প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি মো. সোলেমান খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহা প্রমুখ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কসবা উপজেলা জাতীয় পার্টি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল হক, বায়েক আলহাজ¦ শাহআলম কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাজহারুল ইসলাম, অপরাধপত্র পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক খ.ম হারুনুর রশিদ ঢালী, কসবা প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শেখ মো. কামাল উদ্দিন, মো. আবুল খায়ের স্বপন, সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হক সজল, কসবা প্রেসক্লাব অর্থ সম্পাদক মো. অলিউল্লাহ সরকার, যুগান্তর প্রত্রিকার কসবা উপজেলা প্রতিনিধি বোরহান মো. ইনয়ামুল ইসলাম, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ প্রত্রিকার কসবা উপজেলা প্রতিনিধি মো. শাখাওয়াৎ হোসাইন, কসবা উপজেলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সদস্য সচিব মুন্সী রহুল আমিন, আমরা সংবাদ প্রত্রিকার কসবা উপজেলা প্রতিনিধি ভজন সংকর আচার্য, বাংলা টিভির কসবা প্রতিনিধি মো. রুবেল, প্রথম আলো কসবা বন্ধুসভার সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বলেছেন, রোজিনা ইসলামকে যারা এ সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন সেই আমলাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা যেন নেয় হয়। তারা সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সরকারের সহযোগীতার দাবী করেছেন।
বাংলাদেশ সপ্রীম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবি ডক্টর মো. ইদ্রিছ ভূইয়া বলেন, ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেক্ট আ্যক্ট আইন সাংবাদিকদের জন্য প্রয়োজ্য নয়। এটি যুদ্ধক্ষেত্রে যারা দেশ বিরোধী কাজ করে অফিসিয়াল তথ্য পাচার করে তাদের জন্য প্রযোজ্য। তিনি সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর আমলাদের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, দাপটে আমলাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।