ইউরোপের দেশ স্পেনে জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নেয়ার ২০ দিনের মাথায় নতুন করে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস। দেশটির অন্তত ৭৩ স্থানে প্রাণঘাতী কোভিড-১০ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫৪৩ জন। এই ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন অন্তত ৫ জন।
এ খবরে অনেকটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা স্প্যানিশদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম এল মুন্দ জানিয়েছে, ভাইরাসটি নতুন করে রাজধানী মাদ্রিদ, তারাগোনা, নাভাররা, আন্দালুসিয়া, এস্কাদি, ভ্যালেন্সিয়া শহরে সক্রিয় হয়েছে। তবে দেশটির কাতালোনিয়া প্রদেশের লেলিদা, লুগো (মারিনা) শহরে বেশি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন করে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
পরিস্থিতি বিবেচনায় স্পেনের কিছু কিছু প্রদেশে মহাসড়ক, পার্ক, বিপণন কেন্দ্র ও রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও নিয়ন্ত্রিত আইনের বা বন্ধের ঘোষণাও আসতে পারে।
এল মুন্দের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৯১ জন। মৃত্যুবরণ করেছে ১০ জন। এদের মধ্যে কাস্তিয়াই লিওনে ৪ জন, মাদ্রিদে ৩ জন, আন্দালুসিয়াতে ২ জন ও আরাগোনে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে। বৃহস্পতিবার একদিনে আক্রান্তের মধ্যে কাতালোনিয়া প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কাতালোনিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫৫ জন, আরাগোনে ৬৫ জন।
সব মিলিয়ে করোনা মহামারীতে স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬ জন। আর এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ২৮ হাজার ৪০১ জন।
কাতালোনিয়ার নতুন সংক্রমণের হার বাড়তি থাকায়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার থেকে পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা পুরোপুরি বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে এবং আইন অমান্য করলে ১০০ ইউরো জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজধানী মাদ্রিদের বাড়াখাস বিমানবন্দরে আসা দুই পর্যটক যাত্রীর শরীরে ৯ জুলাই PCR পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে।
স্পেনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে আগন্তুত যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ৩২ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এ অবস্থায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আরও কঠোরভাবে স্পেনে প্রবেশ করা যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করার ঘোষণা দিয়েছে।
ইংল্যান্ড, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ প্রায় ১৩০ দেশে স্প্যানিশদের ভ্রমণ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে করোনা প্রাদুর্ভাব চরমে থাকা সত্ত্বেও লিস্টে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বাংলাদেশের নাম দেখা যায়নি!