এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক এজিএস, জিএস ও ভিপি মো: জহিরুল ইসলাম রিন্টুর বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো কুমিল্লা নগরী। নগরীর কান্দরিপাড়, পুলিশলাইন, টমছমব্রিজ, রাণীরবাজার, বাদুরতলা, ঝাউতলা, রেইসকোর্স, বাগচিাগাঁও, ধর্মপুর, শাসনগাছা, কালিয়াজুরী, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, মোগলটুলী, কাপ্তান বাজার, ভাটপাড়া, ছোটরা, নূরপুর, তেলিকোনা, গর্জনখোলা, সংরাইশ, দক্ষিণ ও উত্তর চর্থা, হাউজিং এস্টেট এর মূল সড়ক ও পাড়ায় পাড়ায় দেয়ালে দেয়ালে দেখা যাচ্ছে এসব পোস্টার। পোস্টার ছাড়াও ব্যানার, ফেস্টুনও টানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। পোস্টার ও ফেস্টুন ব্যানারে লেখা আছে মো: জহিরুল ইসলাম রিন্টুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর ও করতে হবে। মামলায় তিন নেতাকে জরানোর সাথে সাথেই প্রতিবাদে নগরীতে একাধিক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো শুরু করেন নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন চোয়ারা বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় জিল্লুর রহমান জিলানী নামের যুবলীগের এক কর্মী। নিহত জিল্লুর রহমান জিলানী কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। চোয়ারা বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়া জিল্লুর হত্যাকান্ডে আসামি করা হয় কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: জহিরুল ইসলাম রিন্টুকে। আরো আসামি করা হয় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাভেল ও কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদকে। মামলার এই তিন আসামিই কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী ও অত্যন্ত আস্থাভাজন। কুমিল্লার রাজপথের দুর্দিনের কর্মী। বিএনপি জামায়াতের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে জীবনবাজী রেখে রাজপথে লড়াই করা মুজিব সৈনিক।
নিহত জিল্লুর রহমান জিলানী কুমিল্লার আরেক সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত মহিলা আসনের) আঞ্জুম সুলতানা সীমার অনুসারী ছিলেন। কুমিল্লা সদর আসনে আওয়ামীলীগের এমপি বাহার ও আফজল খান পরিবারের সাথে অর্থাৎ এমপি সীমার সাথে বিরোধ থাকায় মূলত উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাদের হত্যা মামলায় জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ এমপি বাহার সমর্থিত নেতাকর্মীদের।
কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী বাহারের হাতকে দুর্বল করার অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের নীল নকশা হিসেবে মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, আদর্শ সদর উপজেলার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহমেদ নিয়াজ পাভেল ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টুকে জিল্লুর হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। রাজনৈতিক মাঠে কোনভাবে কূলিয়ে উঠতে না পেরেই তারা এই ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। আমরা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা থেকে আমাদের তিন নেতার নাম প্রত্যাহার দাবি করছি। সেই সাথে এমন নোংড়া রাজনীতির তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃনা জানাচ্ছি।