ভ্রাম্যমান আদালতে দুই যুবককে মারধরের অভিযোগ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মাস্ক ব্যবহার না করায় জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। সাথে টাকা না থাকায় দুই যুবককে বিকাশ’র মাধ্যমে এনে দিতে হলো জরিমানার অর্থ। তথাপি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে যুবকদেরকে মারধর করার অভিযোগ মিলেছে। তবে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার।

বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে ঘটে এই ঘটনা। এর পরপরই প্রেস ক্লাবে এসে ওই দুই যুবক অভিযোগ করেন। এসময় তাদের একজন ব্যথার চোটে একরকম কাতরাচ্ছিলেন। পুলিশের লাঠির আঘাতে হাত ভেঙ্গে গেছে এক যুবকের।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রাম থেকে শহরে আসেন রাব্বী। তার মাস্ক পড়া ছিলোনা। এজন্যে পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে দাঁড় করিয়ে ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ করেন। রাব্বীর অভিযোগ, তার সঙ্গে টাকা না থাকায় বিকাশে টাকা এনে দেবে বলে ভ্রাম্যমান আদালতকে সে জানায়। কিন্তু টাকা দিতে দেরি করায় ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ তাকে ভেতরে নিয়ে পেটাতে শুরু করেন। এরপর সে মায়ের ওষুধ কেনার জন্যে আনা টাকা পকেট থেকে বের করে দেয়। তখন ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ তাকে বলে, ‘এখন একলাখ টাকা জরিমানা দিলেও কাজ হবে না। ৭ দিনের জেল দেয়া হবে।’ তার দাবী পুলিশের লাঠির আঘাতে তার বা হাত ভেঙ্গে গেছে। ঘটনার বর্ণনা দেয়ার সময় ব্যথায় কাতরিয়ে কাঁদতে থাকেন রাব্বী। এদিকে একই সময়ে পৌর এলাকার ভাদুঘর থেকে আসা রতন ও তার ভাই জাকির মুখোমুখি হন ওই ভ্রাম্যমান আদালতের। তারাও হন হেনস্থার শিকার।তাদের মধ্যে রতনের মাস্ক ছিলোনা। এজন্যে তাদের দাঁড় করানো হয়। জাকির জানান, জরিমানার টাকার রশিদ চাওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ। সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ এনে তাকে মারধর শুরু করে।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোর কুমার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নরমালিই সবাইকে জরিমানা করা হয়। সবাই জরিমানা দিয়েছেন। শুধু একটাই ব্যতিক্রম ছিলো। এক যুবক টাকা থাকা সত্বেও জরিমানা দিতে চাচ্ছিলেন না। তাকে একাধিকবার টাকা দিতে বলা হয়। এরপর জেলের ভয় দেখিয়ে তাকে কিছুক্ষণ গাড়িতে রাখা হয়। পরে সে বিকাশে জরিমানার টাকা এনে দিয়ে চলে যায়। কাউকে মারধরের প্রশ্নই উঠেনা।পৌর মার্কেটের সামনের মতো একটি জায়গায় তা সম্ভবও নয়।’

ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রুহুল আমিন বলেন, আমার জানামতে এমন ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

Post Under