নাসিরনগর,(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে আজিজুর রহমান চৌধুরীঃ
নাসিরনগর বেনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সন্নিকটে সরকারি খাল ভরাট করে ফিলিং স্টেশন স্থাপনের পায়তারা চলছে। সেখানে পূর্বেও মায়ের দোয়া নামক এল.পি.জি. ফিলিং স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। গত ১৬ই মে ২০২০ ইং দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ‘নাসিরনগরে স্কুলের পাশে ফিলিং স্টেশন নির্মাণের পায়তারা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের পর উল্লেখিত ফিলিং স্টেশনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার মাঠ ভরাট কাজে নিয়োজিত ভেকো ড্রাইভারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সরকারি সম্পদ রক্ষায় খালের উপর বাঁধ ভেঙে তা ঘুরিয়ে দেন। কিছুদিন পূর্বে তাহমিনা আক্তার বদলি জনিত কারণে অন্যত্র চলে গেলে সুকৌশলী আবুল কালাম আজাদ পুনঃ ফিলিং স্টেশন স্থাপনে মনোনিবেশ করেন। যার প্রেক্ষিতে স্কুল সংলগ্ন সরকারি খালের উপর বাঁধ দিয়ে ফিলিং স্টেশন স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় শিপন মিয়া ফিলিং স্টেশন বন্ধের দাবীতে গত ৪ঠা জুলাই উপজেলা কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আবেদনে দেখা যায়, বেনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আশুরাইল মৌজার ২০৪৫, ২০৪৬, ২০৪৭ দাগে অবস্থিত। মায়ের দোয়া ফিলিং স্টেশনটি বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৫০ গজ পূর্ব দক্ষীণে ২০৬৭ দাগে অবস্থিত। ফিলিং স্টেশনটি নির্মাণের জন্য ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল কালাম আজাদ বিষ্পোরক অধিদপ্তরে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষানুরাগী এ প্রতিবেদককে জানান আবুল কালাম মাত্র ৬ শতক ভূমি স্থানীয় জনৈক পরশ মিয়ার কাছ থেকে ভাড়া করেন। বাকি সমুদয় সম্পত্তি সরকারের খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। স্কুল সংলগ্ন স্থানে ফিলিং স্টেশনটি স্থাপিত হলে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। এতে শব্দ দূষণ ও অতিমাত্রার যান চলাচল, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্কুল পড়োয়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণহানিরও সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সরকারি খাল ভরাট করে স্কুল সংলগ্ন স্থানে ফিলিং স্টেশন নির্মাণে স্থানীয় নায়েবের মাধ্যমে কাজ বন্ধের জন্য নিষেধ করা হয়েছে। অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সহায়ক ব্যবস্থা করা হবে। মায়ের দোয়া ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধীকারী আবুল কালাম আজাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উল্লখিত স্থানে আমি খাল ভরাট করিনি। আমি অন্য জায়গায় ফিলিং স্টেশন স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।