এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ, তিনশ’ বছরের কবরস্থান এবং বাড়িঘর রক্ষা করে মহাসড়ক প্রসস্থের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হয়েছে সংবাদ সম্মেলন-মানববন্ধন। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন জেলার সরাইল উপজেলা এলাকার বাড়িউড়ার বাসিন্দারা।
এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, সরকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রসস্থ করণের উদ্যোগ নিয়েছে।এই মহাসড়কের পাশে বিদ্যমান তিন কিলোমিটার বিস্তৃত প্রায় তিনশ’ বছর পুরনো কবরস্থান। সদর উপজেলার মজলিশপুর, মৈন্দ ও সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও,বাড়িউড়া, ইসলামাবাদ, এলাকার মানুষের মরদেহ সমাহিত করা হয় এ কবরস্থানে। বাড়িউড়া এলাকায় মহাসড়কের পাশে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আওতাধীন ‘হাতির পুল’ নামে একটি নিদর্শন রয়েছে, যা দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনে আসে মানুষ। একই এলাকায় রয়েছে প্রায় ৪০ বছর পূর্বে বাড়িউড়া জামে মসজিদদ। এছাড়াও জাঙ্গালহাটি, নোয়াহাটি নামের ঘনবসতিপূর্ণ দুইটি মহল্লা রয়েছে, যাতে নয়শ’ পরিবারের প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের বসবাস। প্রতি পরিবারের জায়গা মাত্র ৩০-৫০পয়েন্ট। এই জায়গার বাজার মূল্য থেকে সরকারি মূল্য অনেক কম। যদি এই জায়গা অধিগ্রহণ করা হয় তাহলে তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার এই মহাসড়ক প্রসস্থ জনস্বার্থেই করছেন। পাশাপাশি উল্লেখিত ঐতিহাসিক কবরস্থান, প্রত্নতত্ত্ব, মসজিদ, দুইটি পাড়ার বসতভিটাও জনগুরুত্বপূর্ণ। এসব স্থাপনা ও কবরস্থান রক্ষা করে দক্ষিণ পাশে মহাসড়ক প্রসস্থ করার অনেক জায়গা রয়েছে। পাশাপাশি এতে সরকারের বিপুল অর্থের সাশ্রয় হবে। এই স্থাপনা রক্ষায় আমরা ইতোমধ্যে আবেদনও জানিয়েছি। সরকার আমাদের আবেদন বিবেচনা করে মহাসড়কটি প্রসস্থ করবে তা প্রত্যাশা করছি। এই দাবীতে প্রকল্প পরিচালক এবং জেলা প্রশাসকের কাছে গণস্বাক্ষরিত আবেদন করেছি। এসময় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওই এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক জসিম উদ্দিন।
সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন ব্যবসায়ী হাসান মিয়া, ডা. হাজী সাদেক, আব্দুল কুদ্দুস, মো. আল আমিন, আবুল কাসেম মুন্সি, হাজি বজলুর রহমান মাষ্টার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে একই দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।