এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ছয় ভিক্ষুকের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দোকানঘর। সমাজে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন এবং ভিক্ষুকদের মাঝে অর্থনীতিক মুক্তি আনয়নে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন মার্কেটের সামনে শেড নির্মাণ করে কাঁচামাল, মাছ ও ফলের দোকান করে দেয়া হয়েছে। এতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে উপজেলার ছয়জন ভিক্ষুককে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ.বি.এম আজাদ পুনর্বাসন মার্কেট এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে বরাদ্দপ্রাপ্ত ছয়জনকে দোকান বুঝিয়ে দেন। এর মাধ্যমে পুনর্বাসিত করা হলো ছয় ভিক্ষুককে। তারা হলেন, উপজেলার আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রমজান মিয়ার স্ত্রী মমতাজ বেগম, চরচারতলা ইউনিয়নের মৃত রবিউল্লাহর পুত্র শফিকুল ইসলাম, আবদুল বারিক মিয়ার পুত্র আবদুল কাদির, চান মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম, পুরাগুদাম এলাকার আশ্রাব আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এবং যাত্রাপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। জীবিকান্বেষণে তারা সকলেই নিয়োজিত ছিলেন ভিক্ষাবৃত্তিতে। এখন থেকে তাদেরকে আর ভিক্ষা করে খেতে হবেনা, নিজের ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে স্বাধীনভাবে করতে পারবেন জীবিকা নির্বাহ।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকালে আশুগঞ্জ ভিক্ষুক পুনর্বাসন মার্কেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিমুল হায়দার, উপজেলা পরিষদের মগিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে বিভাগীয় কমিশনার সরাইলের বেড়তলায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে নির্মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্যা নিকেতন’ পরিদর্শন করেন।