এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ইভটিজারের জ্বালায় অতিষ্ঠ এক স্কুলছাত্রীর পরিবার। ভাড়া বাসা ছেড়ে চলে যায় অন্যত্র। কিন্তু এতেও থাকতে পারেনি নিরাপদে। মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সড়কে দাঁড় করিয়ে মাকে করলো জুতাপেটা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অবশেষে বখাটে ইমনকে আটক করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর ওই স্কুলছাত্রীর মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। ঘটনার পর আটককৃত বখাটে ইমন ওই মহল্লার দুলু মিয়ার পুত্র। স্কুলছাত্রীর পিতা দায়ের করেছেন মামলা।
স্কুলছাত্রীর পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শহরের সরকারপাড়ার সেন্ট্রাল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত মেয়েটির পরিবার দক্ষিণ পৈরতলায় ভাড়া থাকেন। বিদ্যালয়ে যাতায়াতকালে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায়শই উত্ত্যক্ত করত স্থানীয় দুলু মিয়ার পুত্র ইমন। স্কুলছাত্রীর পরিবার ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাদেরকে নানানভাবে হুমকি প্রদান করে। পরে ঘটনাটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি পৌর কাউন্সিলরকে জানাতে বলেন। পৌর কাউন্সিলরকে জানালেও তিনি তেমন কোন ব্যবস্থা নেননি। পরবর্তীতে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার তাদের ভাড়া বাসা বদল করে ফেলে। তারপরও ওই বখাটে স্কুলছাত্রীর বাসার সামনে এসে বসে থাকে। শনিবার দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীর মা তাদের পুরাতন বাসা এলাকার একটি দোকান থেকে মালামাল আনতে যায়। এসময় বখাটে ইমন ওই স্কুলছাত্রীর মাকে পথিমধ্যে পেয়ে পায়ের জুতা খুলে মারধর শুরু করে। স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে দক্ষিণ পৈরতলার একটি স’মিল থেকে বখাটে ইমনকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার।
সেন্ট্রাল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাপ্পি আহমেদ বলেন, ‘প্রায় এক মাস আগে ওই বখাটের ইভটিজিংয়ের ঘটনাটি আমাদের অবহিত করে ছাত্রীর পরিবার আমাদের অবহিত করেন। আমি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানাতে বলি। কিন্তু তার মায়ের উপর হামলার ঘটনা খুবই জঘণ্য হয়েছে।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইমনকে আটক করেছে পুলিশ। স্কুলছাত্রীর পিতা এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।