এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
থানাকান্দি ও গৌরনগর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার উত্তপ্ত জনপদ নামে খ্যাত। গ্রাম্য আধিপত্যের লড়াইয়ে খুন-খারাবি সেখানে যেনো অনেকটাই মামুলি ব্যাপার। মানুষের পা কেটে নিয়ে উল্লাস করার মত বর্বরোচিত ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। এবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র থানাকান্দির পর গৌরনগর গ্রামে খুন হলেন ষাটোর্ধ বৃদ্ধ হাজী ফরিদ মিয়া।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের গ্রুপের হোসেন মিয়ার সাথে কাউছার মোল্লা গ্রুপের ফরিদ মিয়ার বাড়ির সীমানায় ইট বসানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের হাতাহাতির এক পর্যায়ে হাজী ফরিদ মিয়া (৬৫) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহত ফরিদ মিয়া গৌরনগর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র এবং কাউছার মোল্লা গ্রুপের সদস্য।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গৌরনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জেরে তুচ্ছ ঘটনায় এই পর্যন্ত উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচটি খুনের ঘটনা ঘটে।স্থানীয় কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান এবং স্থানীয় প্রভাবশালী কাউছার মোল্লার মধ্যে বিরোধের জেরেই এসব ঘটনা ঘটে। এসবেরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের গ্রুপের হোসেন মিয়ার সাথে কাউছার মোল্লা গ্রুপের ফরিদ মিয়ার বাড়ির সীমানায় ইট বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়। এতে কাউছার মোল্লা গ্রুপের মৃত লাল মিয়ার ছেলে হাজী ফরিদ মিয়াকে গলাধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এলাকায় বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ‘ঘটনাস্থল হতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’