শেখ মো. কামাল উদ্দিন
মহামারী করোনায় আক্রান্তের হার বেড়েই চলছে। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের আর্থিক জরিমানা ও মামলা দায়ের অব্যাহত আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মহামারী করোনা সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। কসবা পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতার জন্য প্রশাসন, সেনাসদস্য, পুলিশ ও স্কাউট সদস্যদের তৎপরতা লক্ষনীয়। কিন্তু কতিপয় লোক লকডাউন বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হাট-বাজারে চলাফেরা করতে দেখা যায়। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও সময় সুযোগে খোলা রাখার চেষ্টা করে। টহলরত প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকে দেখলে দোকানীরা সাটার বন্ধ করে রাখে। প্রশাসনের লোকজন অন্য দিকে মোভ করলে আবার দোকান খুলে ফেলেন। সাধারণ মানুষও তখন তড়িঘড়ি করে মুখে মাস্ক পড়তে দেখা যায়।
৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ভ্রাম্যমান আদালত লকডাউনে বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় পাঁচ ব্যক্তিকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবা খান। এসময় তাঁকে সহায়তা করেন সেনাসদস্য, পুলিশ, স্কাউট ও প্রশাসনের অন্যান্য লোকজন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম হাছিবা খান জানান, প্রতিদিনই জনসচেতনা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ ও মাস্ক বিতরণ করা হলেও কতিপয় লোক তা মানছেন না। বৃহস্পতিবার লকডাউনে বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল, মাস্কবিহীন অবস্থায় পিকআপ ও ট্রাক্টর চালানোর অপরাধে ৫ ব্যক্তিকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। চলমান বিধিনিষেধ প্রতিপালনের নির্দেশনা দেয়া হয়।