কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর বাজারে গত রোববার গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রশাসনের হিসাব অনুয়াযী প্রায় তিন কোটি টাকার পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর বাজারে গত রোববার রাত
দুইটার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড শুরু হয়। একটি গ্যাস ও তেলের দোকানে আগুন ধরে গেলে মুহুর্তের মধ্যে কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাজারে দায়িত্বরত নৈশ্য প্রহরীরা চিৎকর করতে থাকলে স্থানীয়রা দৌড়ে আসেন। খবর পেয়ে কসবার কুটি চৌমহনী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় প্রায় চারঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শিমরাইল ফার্নিচার গ্যালারী, জাহাঙ্গীর ট্রেডাসের পেট্রোল ও তেলের এজেন্ট, ছিদ্দিক মিয়ার ফিস ফিডের দোকান, রেনু গ্যাস সিলিন্ডারের এজেন্ট এবং মোস্তফা মিয়ার ডেকোরেটস।
সোমবার সকালে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় অগ্নিকান্ডের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করতে বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন ভূইয়াকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম এবং কসবার কুটি চৌমহনী ফায়াসার সার্ভিসের টিম লিডার। তাদেরকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
শিমরাইল ফার্নিচার গ্যালারী স্বত্বাধিকারী মো. জুয়েল রানা বলেন, শো-রুমটি অনেক দামী মালামাল ছিল। অগ্নিকান্ডে কমপক্ষ এক কোটি টাকার পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অগ্নিকান্ডে প্রায় ৫০ লাখ টাকার পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, অগ্নিকান্ডে পাঁচটি দোকান পুড়ে গেছে। এতে কমপক্ষে তিন কোটি টাকার পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রকৃত কারণ নির্ণয় করতে বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই বাজারটিতে পরপর কয়েকবার আগুন লেগেছে। পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষকে বলা হয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন আছে কিনা এবং বিদ্যুৎ লাইনে কোন ত্রæটি আছে কিনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য।